আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজায় নির্বিচার আগ্রাসনের মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরে ৮০০ হেক্টর (১,৯৯৭ একর) জমি দখলে নিয়েছে ইসরায়েল। দখলদার দেশটির বসতি স্থাপনকারীদের জন্য ভূমি ব্যবহার সহজ করতে এসব জমিকে দখলে নিয়েছে দেশটি।

শুক্রবার ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ উত্তর জর্ডান উপত্যকার বিস্তীর্ণ এলাকাটিকে ‘রাষ্ট্রীয় ভূমি’ হিসাবে ঘোষণা করেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় আল জাজিরা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে আলোচনার জন্য শুক্রবার ইসরায়েল সফর করার মধ্যেই এই ঘোষণা এল দেশটির পক্ষ থেকে।

ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ নিজেও ইসরায়েলি বসতিতে বাস করেন এবং পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন। ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বিরোধিতা সত্ত্বেও পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বৃদ্ধির জন্য সরকারের দৃঢ় সংকল্পের উপর জোর দেন তিনি।

স্মোট্রিচ বলেছেন, ‘যদিও ইসরায়েল ও বিশ্বে এমন কিছু লোক আছে যারা জুডিয়া ও সামারিয়া অঞ্চল এবং সাধারণভাবে দেশটির উপর আমাদের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করতে চায়, এরপরও আমরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ও কৌশলগতভাবে সারা দেশে বসতি স্থাপনের প্রচার করছি।’

ইসরায়েলের অবৈধ বসতি নজরদারি করা সংস্থা পিস নাউ বলছে, ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির পর যেসব এলাকা দখল করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে নতুন করে দখল করা এলাকাটির আয়তন সবচেয়ে বড়। ২০২৪ সালের রাষ্ট্রীয় ভূমি ঘোষণার ক্ষেত্রে এটি শীর্ষে থাকবে।

অধিকারকর্মীরা এই দখলকে এই দশকে ফিলিস্তিনি ভূমি দখলে ইসরায়েলের অন্যতম বড় পদক্ষেপ বলে বর্ণনা করেছেন।

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ। তবে আন্তর্জাতিক বিরোধিতা সত্ত্বেও গত কয়েক দশকে পশ্চিম তীরে বহু ভবন নির্মাণ করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে বর্তমানে ৪ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি ইসরাইলির বাসস্থান। তাদের সঙ্গেই সেখানে প্রায় ৩০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করেন।

ভয়েস/আআ